-->

ads

হিজড়াদের ত্রাস

দেশে যে কোন ধরনের উতসব আসলেই বেড়ে যায় হিজড়াদের ত্রাস । হিজড়াদের আক্রমণে হঠাতই চরম বিড়ম্বনায় পরে যেতে হয় । বিভিন্ন ভাবে তারা হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকাও । টাকা নিয়েও তারা ক্ষান্ত হয় না, নানা ভাবে আপনাকে অপমান অপদস্তও করতে পিছপা হয় না অনেক হিজড়া । আজকের পোস্টে ঠিক তেমনি একটি ঘটনা তুলে ধরবো ।

মোহাম্মদ আরিফুর রহামান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারির ফেসবুকে দেওয়া পোস্টটি তুলে ধরা হলো - " ঘটনাটি গতকাল রাতে আমার বড় ভাইয়ের ফ্ল্যাটে ঘটেছে।আমার ভাই ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে নয় তলা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এর নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করে। কমপ্লেক্সে ৩০টি ফ্ল্যাট আছে। ২৪ ঘন্টা সিকিউরিটির ব্যবস্থা এবং সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায় ভাই, ভাবি ও তাদের ছোট দুইটি সন্তান থাকে। মেয়ে ক্লাস টু, ছেলে নার্সারিতে পড়ে। এছাড়া একজন গৃহপরিচারিকা আছে।

গতকাল রাত নয়টার দিকে ফ্ল্যাটের কলিংবেল বাজে। কমপ্লেক্সের ম্যানেজার এসেছে মনে করে ভাই গৃহপরিচারিকাকে দরজা খুলে দিতে বলে। দরজা খোলামাত্র তিনজন হিজড়া হুড়মুড়িয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। তারা ঢুকেই আতংক সৃষ্টি করে। কোন কারণে তখন কমপ্লেক্সের পকেট গেট খোলা ছিল। সিকিউরিটি গেটের কাছে ছিল না, সেই সুযোগে তারা ঢুকে পড়ে। তারা উল্টাপাল্টা টাকা দাবি করে। এ অবস্থার বাসার সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। তাদের টাকা না দিলে বাসায় টিভি, ল্যাপটপ সহ জিনিসপত্র ভাংচুর করতে উদত্ব হয়। বাচ্চারা ভয় পেয়ে যায়। তাদের হাজার টাকা অফার করা হয়, তারা নিবে না। এবার তারা সাত হাজার টাকা দাবি করে। তাদের দাবি মত টাকা না দিলে অশ্লীল কথা বলে। এভাবে টাকা নিয়ে ঘন্টার উপর বার্গেনিং হয়। কিন্তু তারা টাকা কম নিবে না। তাদের তিন হাজার টাকা দেয়া হয়। তারা আরও টাকা চায়। ইতোমধ্যে পুলিশে কল দেয়া হয়। পরে পুলিশ আসার বিষয়টি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারা প্রায় তিন ঘন্টা ফ্ল্যাটে তান্ডব চালায়। 

বাসায় দুইটি ছোট ছেলেমেয়ে থাকে। তাদের উপর কি রকম মানসিক প্রেশার পড়ছে ভাবা যায়! একজন ভদ্রলোকের বাসায় এভাবে ঢুকে এই রকম আচারণ ডাকাতির চেয়েও ভয়াবহ। যারা এই সিচুয়েশনে পড়েছে তারা ছাড়া কেউ বুঝবে না। এই করোনার সময়ে এটা আরও ভয়াবহ। আমার ভাই ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে জব করে। সরকারি সব অফিস খুলে দিলেও সে বাসা থেকে কাজ করে। করোনার কারণে চার মাস ধরে বাহিরে যায় না।

হিজড়াদের এই ধরনের আচরণ পত্রিকায় পড়েছি। এবার নিজেরা ফেস করলাম। সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। সকলের সচেতনতার জন্য পোস্ট করলাম। যেকোন সময় যে কেউ এই সিচুয়েশনে পড়তে পারেন। এদের সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করুন। "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ