আপনার একটু মানষিক সাপোর্ট পেলেই কিন্তু ঘরের কর্তা ঘরে ফিরে বাইরের সব ক্লান্তি ভুলে যাবে। নিজেকে সবসময় সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করবেন। আপনার হইতো একটা দামী মোবাইল,দামী জামাকাপড় কিংবা বাইরে ঘোরাঘুরির শখ থাকতেই পারে কিন্তু সবার আগে আপনাকে আপনার ঘরের কর্তার সামর্থের কথা মাথায় রাখতে হবে। তার সামর্থের বাইরে গিয়ে কিছু করতে যাওয়া আপনার জন্য চরম বোকামি হবে,এতে করে সংসারে নেমে আসতে পারে চরম অশান্তিও।
ঘরের কর্তা বাইরের ব্যস্তরার জন্য হইতো তার বাবা-মা কিংবা আপনার বাবা-মা সহ অনেক আপজনের খোজখবর রাখার অবসর নাও পেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার একটা আন্তরিকতায় কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ঘরের টুকটাক কাজের মধ্যেও একটু সময় বেরকরে আপনি সকলের সাথে একটা সুসম্পর্ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে সংসারের বন্ধনটা আরও দৃঢ় করতে পারেন।
একজন মেয়ে যে তার স্বামীর ঘরে শুয়ে বসে কাটায় আমি তেমনটা বলছি না। একটা সংসারেও অনেক কাজ থাকে,ঘর সামলানো,বাচ্চা লালনপালন করা,রান্না বান্না সবকিছু মিলিয়ে ব্যস্ত সময়ই পার করতে হয় আপনাকে।তবে আপনি সংসারের সব কাজগুলো যদি ভালোবেসে করেন তবে কাজগুলো আর কাজ মনে হবে না। পাশাপাশি স্বামীর মানষিক পরিস্থিও বোঝার চেষ্টা করুন। সে যখন ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে তাকে এক গ্লাস জল আগিয়ে দিন,মাথার উপরের ফ্যানটা ছেড়ে দিন, বাইরের সময়টা আজ তার কেমন গেলো আলাপচারিতার মাধ্যমে জনার চেষ্টা করুন। এমনটা কখনই করবেন না ঘরে ফেরার সাথে সাথে সারাদিনে আপনার ঘরের কর্ম ব্যাস্ততার ক্ষোভ ঝেড়ে দিলেন, জমানো কোনো নালিশ কানে দিয়ে দিলেন অথবা হুট করে কোনো আবদার করে বসলেন।
আপনার স্বামী তার সামর্থ্য অনুযায়ী যেভাবে রাখে আপনি সেভাবেই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। বাজার থেকে সে যদি পুটি মাছও কিনে আনে সেটাই পরম যত্নে রান্না করে সবার সামনে পরিবেশন করুন। অযথা ইলিশ ইলিশ করে অশান্তির সৃষ্টি করবেন না। কারন একজন পুরুষ কখনই তার সামর্থ্যের বাইরে চলতে পারে না। আপনাকে যদি আপনার স্বামী ভালোবেসে সামান্যতম কোনো উপহার এনে দেয় তবে তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন, এতে আপনার স্বামী মানষিক প্রশান্তি পাবে। আপনার আবদার,চাওয়া-পাওয়ার পরিধিটা স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী সংযত করে ফেলুন। তাহলে দেখবেন আপনিও অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারবেন।
স্বামীর যে কোন বাজে সময়েও তার প্রতি সম্মান,ভালোবাসা অটুট রাখুন। ভুলেও নিজের স্বামীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য কিংবা খাটো করে দেখবেন না। ভালো সময়ে তার কাছ থেকে যেমন ভালোবাসা পান তার খার সময়েও তার মতো তাকে ভালোবেসে যান।
সংসার জীবনে বিশ্বাস একটা খুব বড় জিনিস। সংসারে অবিস্বাস ঢুকে যায় এমন কাজ কখনও করতে যাবেন না। অযথা নিজের স্বামীকে অবিশ্বাস করে খোচাখুচি বন্ধ করুন। স্বামী ভুল পথে অগ্রসর হলে ভালোবাসা দিয়ে তাকে আঁকড়িয়ে রাখার দায়িত্বটা কিন্তু আপনারই। মনে রাখবেন সংসার আপনার, এই সংসারে যাতে কোন অবস্থাতেই ঘুনে না ধরে।
0 মন্তব্যসমূহ